বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
বগুড়া আদালত। ছবি-সংগৃহীত
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : বগুড়ায় আদালতের কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিমকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত দু’দিনে গ্রেফতার করা যায়নি।
সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রিয়া রহমান দেড় বছরের সাজা ঘোষণা করলে তিনি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে ৬ষ্ঠ তলায় আদালতের কাঠগড়া থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।
কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মকবুল হোসেন নামে এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আদালতের জিআরও এএসআই মোস্তাফিজার রহমান সদর থানায় মামলা করেছেন।সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, পলাতক আসামি হালিমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার শেরপুরে নিজাম উদ্দিন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে গত ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কম্পিউটার চুরি হয়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ খন্দকার নাজমুল হক ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় স্থানীয় গাড়িদহ গ্রামের মৃত হাফিজার রহমানের ছেলে আবদুল হালিম, আকরামপুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে আরিফ চৌধুরী ও বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মাহফুজার রহমানের ছেলে সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রিয়া রহমান তার রায়ে আবদুল হালিম ও আরিফ চৌধুরীকে দেড় বছর করে ও সোহরাব হোসেনকে এক বছর কারাদন্ডাদেশ দেন।
রায় ঘোষণার পরপরই আদালতের কাঠগড়া থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম লাফ দিয়ে পালিয়ে যান। কর্তব্যরত পুলিশ তাকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। হালিম জামিনে ছিলেন।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, রায় ঘোষণার পরপরই সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গেছেন। কর্তব্যে অবহেলায় পুলিশ সুপার হাজতের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল মকবুল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
এসএস